Aug 19, 2014

HEALTH CARE INFORMATION

হার্ট সুস্থ রাখতে জেনে নিন ৩০ কৌশল

শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে মস্তিষ্ক এবং হৃৎপিণ্ড বা হার্টকে নিয়েই ভাবনা থাকে বেশি। এর যেকোনো একটি বিকল হলে মহাবিপর্যয় নেমে আসে। রোগ বিবেচনায় অবশ্য হার্টকে নিয়েই বেশি ভয়। তাই হার্ট সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে চলছে নানা ধরনের গবেষণা। শত শত বছর ধরে চলা এসব গবেষণা উপায়ও বাতলে দিয়েছে অনেক। এর মধ্যে ৩০টি উপায় জানিয়েছে মেনস হেলথ ডটকম।
১. সপ্তাহে দুইবার শারীরিক সম্পর্ক: গবেষণায় দেখা গেছে, স্ত্রীর সঙ্গে যারা মাসে একবার শারীরিক সম্পর্ক করে থাকেন তাদের তুলনায় যারা সপ্তাহে দুই বা তার বেশিবার করেন তাদের হার্ট বেশি সুস্থ থাকে। আমেরিকান জার্নাল অব কার্ডিওলজির মতে, শারীরিক সম্পর্ক হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াকে নিরাপদ করে তোলে, যেভাবে পোশাক তাপমাত্রার হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
২. প্রতিদিন এক কাপ আখরোট: প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ আখরোট-জাতীয় ফল খেলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনপ্রক্রিয়া কার্যকর হয়ে ওঠে। কেননা আখরোট-জাতীয় ফলে থাকে ওমেগা-৩ নামের চর্বি, যা বিভিন্ন ধরনের প্রদাহের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নেয় এবং এর ফলে দূষিত রক্ত নিয়মিত পরিসঞ্চালিত হয়ে হার্টের গতি স্বাভাবিক রাখে।
৩. নাড়ির গতি লিপিবদ্ধ রাখুন: ঘুম থেকে ওঠার পর অন্য কিছু খোঁজার আগে আপনার প্রয়োজন নিজের নাড়ি মেপে রাখা। কারণ এ সময় শরীর আবারো পুরোমাত্রায় কার্যক্ষম হয়ে ওঠার প্রস্তুতি শুরু করে। তাই হার্টও হয়ে ওঠে সচল। স্বাভাবিকভাবে পূর্ণবয়স্ক একজন মানুষের এ সময় নাড়ির গতি হবে মিনিটে ৭০ বার বা তার চেয়ে কম। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, যদি সপ্তাহ ধরে এর ব্যত্যয় ঘটে, তবে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে স্থানীয় হাসপাতালে।
৪. এড়িয়ে চলুন দূষিত বায়ু: সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বে দূষিত বায়ুর পরিমাণ বেড়েছে। আবহাওয়াবিদদের ভাষ্য মতে, শীতকালে সকালের দিকে বাতাসে দূষিত পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে। সাধারণত বাতাসে থাকা অতিরিক্ত ধাতব পদার্থ নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে স্কন্ধদেশের ধমনিপ্রাচীরকে আরো পুরু করে তোলে, যে কারণে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়।
৫. বেশি খান শিম, বরবটি: আলু কিংবা কলাই-জাতীয় খাবারের চেয়েও গুটিযুক্ত ফলধারী লতা, যেমন- শিম, বরবটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এগুলো রাখতে পারেন ওষুধ বিবেচনায়ও।
৬. করুন মুঠোর ব্যায়াম: টানা চার সপ্তাহের মুঠো সঞ্চালন-প্রসারণ ব্যায়ামও আপনার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে। হাইপারটেনশন জার্নাল জানিয়েছে, এর মাধ্যমে আপনি রক্তের ঊর্ধ্বচাপ কমিয়ে আনতে পারেন প্রায় ১০ শতাংশ হারে।
৭. ডিমও সঙ্গী হবে: যারা বলছেন, বেশি বেশি ডিম খেলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে তাদের জন্য দুঃসংবাদ। কেননা ব্রাজিলীয় গবেষকরা জানিয়েছেন, ডিমের কুসুমে থাকা ভিটামিন ই, বি-১২ এবং ফলেট করোনারি আর্টারিকে পরিষ্কার রাখে। তবে কেউ যদি দিনে চারটি করে ডিম খেতে থাকেন, তবে তাকে এসব গবেষণার কথা ভুলে যেতে হবে।
৮. দৌড়ান নিয়মিত: এটা একটা সাধারণ তরিকা। তবে হার্ট ভালো রাখতে হলে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন কিলোমিটার করে দৌড়ানোর উপদেশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ক্ষেত্রে দৌড় শুরুর আগে এবং শেষে হার্ট রেটের সংখ্যা লিপিবদ্ধ করারও অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
৯. শ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করুন: না, নিজের ইচ্ছামতো গতিতে শ্বাস নিতে কিংবা ছাড়তে বলা হচ্ছে না। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন শ্বাসের ব্যায়াম করুন। উদাহরণ হিসেবে প্রথমে ৩০ সেকেন্ডে ছয়টি পূর্ণাঙ্গ শ্বাস-প্রশ্বাস সম্পন্ন করুন। এরপর সময়ের পরিমাণ কমাতে থাকুন। এ ব্যায়াম আপনার হৃদ সংকোচনসংক্রান্ত চাপ কমাতে ধন্বন্তরি ভূমিকা রাখবে।
১০. দূরে থাক অবসাদ: কোনোভাবেই কাজের ক্লান্তিকে আপনার ওপর চেপে বসতে দেবেন না। এ জন্য মাঝেমধ্যেই অবসাদ দূর করতে আপনার পছন্দকে গুরুত্ব দিন। সুইজারল্যান্ডের এক গবেষণা জানিয়েছে, অবসাদ দূর করার তৎপরতা হৃদযন্ত্রের সংকট কাটায় ৫৭ শতাংশের কাছাকাছি।
১১. বিদায় জানান ফ্লু-কে: জার্নাল হার্টের প্রতিবেদন জানিয়েছে, যেসব ওষুধ ফ্লু জাতীয় ভাইরাস দূর করতে ব্যবহার করা হয় তা হার্টের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সারাতেও কার্যকর ভূমিকা রাখে। উদাহরণ হিসেবে তারা ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকার কথা বলেছেন। এই টিকা একই সঙ্গে ধমনির প্রদাহ দূর করতেও শক্তিশালী ভূমিকা রাখে।
১২. বালিশে মাথা রাখুন সময়মতো: যাদের অনিদ্রা নামক রাজরোগ আছে, তারা অন্যদের চেয়ে ৪৫ শতাংশ বেশি হার্ট এটাকের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী ঘুমের জন্য প্রতিদিন বেশি বেশি শারীরিক পরিশ্রম করার আহ্বান জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
১৩. নাস্তি অধিক ঘুমেও: এমনকি যারা বেশি বেশি ঘুমকাতুরে তাদেরও সাবধান করে দিয়েছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, দিনে ১০ ঘণ্টা কিংবা তার বেশি সময় যাদের ঘুমে কাটে তাদের স্থূলতার পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকে, কমতে থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। সুতরাং অধিক ঘুমে নাস্তি।
১৪. খাদ্য তালিকায় কমাতে থাকুন চর্বির পরিমাণ: খাবারে থাকা চর্বি হৃৎপিণ্ডকে অকার্যকর করে তুলতে ভূমিকা রাখে। সুতরাং খাদ্য তালিকা থেকে নিয়মিতভাবে চর্বির পরিমাণ কমাতে থাকুন, তবে অবশ্যই পুষ্টি তালিকার নিুক্রম ছাড়িয়ে যাবেন না।
১৫. যোগ করুন পটাশিয়ামযুক্ত খাদ্য: প্রতি দিনের খাদ্য তালিকায় ক্রমাগতভাবে যুক্ত করতে থাকুন পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ। এ ক্ষেত্রে কলা এবং মিষ্টি আলুকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলেছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা।
১৬. ত্বকে দিন সূর্যের আলো: প্রতিদিন ২০ মিনিট করে সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ে, যা রক্তচাপকে কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
১৭. নীরবতাকে প্রাধান্য দিন: হার্টের সমস্যার সঙ্গে উচ্চ ডেসিবেলের শব্দেরও বেশ যোগ রয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে দূরে প্রতি ১০ ডেসিবেল শব্দের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার হার্ট এটাকের পরিমাণও বাড়তে থাকে ১২ শতাংশ হারে।
১৮. সময় দিন গৃহপালিত প্রাণীদের: নিজেকে নীরোগ রাখতে বাড়ির গৃহপালিত কুকুর-বিড়াল বা পাখিদের প্রতিও মনোযোগী হোন। অন্য প্রাণীদের প্রতি উদারতা আপনার হার্টের সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে।
১৯. সবার সঙ্গে অংশ নিন সকালের নাশতায়: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, যারা সকালের পারিবারিক নাশতার টেবিল মিস করে তাদের হৃদযন্ত্রকালীন সংকটের পরিমাণ অন্যদের থেকে ২৭ শতাংশ বেশি থাকে।
২০. ছুড়ে ফেলুন এনার্জি ড্রিংকস: শক্তিবর্ধক এসব পানীয়কে ‘শত্রু’ হিসেবে গণ্য করুন। কেননা এসব পানীয় কোনোভাবেই আপনার কোনো ধরনের উপকারে আসবে না, উল্টো রক্তচাপ বাড়িয়ে মুহূর্তেই আপনাকে ধসিয়ে দেবে।
২১. পান করুন গরুর দুধ: গরুর দুধে থাকা লো ফ্যাট হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াবিরোধী কম ঘনত্বসম্পন্ন লিপ্রোপ্রোটিনের হার কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দুধে থাকা ক্যালসিয়াম শরীরে জমে থাকা পুরু চর্বির স্তর কাটতে ভূমিকা রাখে।
২২. ব্যায়ামে কমান উপুড় হওয়ার প্রবণতা: সাধারণত উবু হওয়া ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের পেশিগুলো আরো কার্যকর হয়ে ওঠে। কিন্তু এই ধরনের ব্যায়াম একই সঙ্গে হৃৎপিণ্ডকে নিঃশেষ করতেও ভূমিকা রাখে। তাই উপুড় ব্যায়াম সংকোচন শুরু করুন।
২৩. গান গান ইচ্ছামতো: হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে গলা ছেড়ে গান গাইতেও উৎসাহিত করেছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, দলবদ্ধ সংগীত কিংবা কারাওকে হাসিখুশি রাখে হৃদযন্ত্রকেও।
২৪. মসলা হলে দারুচিনি: খাদ্য তালিকায় মসলা ব্যবহারে আপত্তি থাকলেও দারুচিনির ব্যবহার হৃৎপিণ্ডকে সতেজ করে তুলতে অনন্য ভূমিকা রাখে। প্রতিবেলা খাবারে দুই চা চামচ দারুচিনি রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনে, এমনকি মাংস খাবার পরের মুহূর্তেও।
২৫. বাড়ান সামাজিক যোগাযোগ: একা বাস করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা অন্যদের তুলনায় বেশি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে থাকে। তাই অন্যদের সঙ্গে কথা বলুন, হাত মেলান, জড়িয়ে ধরুন এবং আরো বেশি সামাজিক হতে চেষ্টা করুন; নিজের স্বার্থেই।
২৬. সালাদকে ভোলার কারণ নেই: খাবারে যদি সবুজ সালাদ থাকে তাহলে আপনার রসনা তৃপ্তির পাশাপাশি হার্টও খুশি থাকবে। তাই বেশি বেশি যুক্ত থাকুন ভিনেগার, জলপাইয়ের তেল কিংবা লেবুর শরবতের সঙ্গে।
২৭. হয়ে উঠুন শাকাহারী: বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন অন্তত দু-একটি শাকপাতা থাকে, তাদের হৃৎপিণ্ড অন্যদের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি সবল থাকে। তাই শাকাহারী হয়ে উঠতে উৎসাহ জুগিয়েছেন গবেষকরা।
২৮. থাকুন হাসিখুশি: হাসিখুশি আর প্রাণবন্ত মুখাবয়ব শুধু স্টাইল বা ফ্যাশন আইকনই আপনাকে করে তুলবে না, বাড়িয়ে দেবে আপনার নীরোগ থাকার প্রবণতাও। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রাণবন্ত উপস্থিতি আপনার অবসাদ ও অভ্যন্তরীণ প্রদাহকে ছুটি দিয়ে দেবে এবং অলিন্দ ও নিলয়ের প্রকোষ্ঠকে সুঠাম রাখবে।
২৯. সবজি খান রঙ দেখে: রঙিন সবজি বা তরিতরকারির প্রতি আগ্রহ বাড়ান। কেননা কমলা বা সবুজ রঙের প্রতিটি সবজি আপনার রক্তচাপকে অনিয়মিত প্রবাহের হাত থেকে সুরক্ষা দেবে, যা হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতার জন্যও বেশ উপকারী।
৩০. আরোহণ করুন সাইকেলে: ঘরে কিংবা বাইরে সাইকেলে আরোহণ চর্চা বাড়িয়ে দিন। প্রতিদিনের বাহন হিসেবে সাইকেলকে যদি গ্রহণ করে থাকেন তাহলে তো কথাই নেই, কিন্তু যদি তা না হয় তাহলে ঘরের ব্যায়ামে প্রাধান্য দিন সাইক্লিংকে। প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট সাইক্লিং হৃদযন্ত্রের প্রবাহকে স্বাভাবিক রাখবে।

টুথপেস্ট দিয়ে আরও ৯টি দারুণ কাজ করতে পারবেন

টুথপেস্ট ব্যবহার করা হয় শুধু দাঁত মাজার জন্য। এর আর কী কোনো কাজ রয়েছে? অনেকেই জানেন না দাঁত মাজা ছাড়াও আরো ৯টি দারুণ কাজ করতে পারবেন টুথপেস্ট দিয়ে।
১. গোসলের পানিতে বুদ্বুদ : বাথটবে গোসলের পানিকে ফেনিল করতে চান। হাতে পেস্ট নিয়ে পানিতে নিয়ে দুই হাত ঘষাঘষি করলেই বুদ্বুদে ভরে যাবে পানি। এতে চোখ জ্বলে না।
২. নখের শক্তি বৃদ্ধি : দাঁত মাজার সময় নখে একটু পেস্ট নিয়ে ঘষা-মাজা করুন। দেখবেন নখগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি চকচক করছেন এবং এর স্বাস্থ্যও ভালো হয়ে যাবে।
৩. কাপড়ের কালচে দাগ গায়েব : কার্পেটে দীর্ঘদিনের কালচে দাগ পড়ে রয়েছে? ব্রাশের আগে পানি আর পেস্ট দিয়ে দাগের জায়গাটি ঘষে নিন। তার পর ব্রাশ দিয়ে ঘষুন। দেখবেন দাগ উঠে গিয়ে পরিষ্কার হয়ে যাবে। যেকোনো কাপড়ের দাগও পেস্ট দিয়ে ওঠানো যায়। তবে দাঁত অত্যাধিক সাদা করার জন্য বিশেষ টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন না।
৪. চুল গোছাতে : চুলের জেলের মতো পদার্থ রয়েছে টুথপেস্টে। একে বলে ওয়াটার সল্যুবল পলিমার। এলোমেলো চুল গুছিয়ে নিতে যেভাবে জেল ব্যবহার করি, সেভাবেই পেস্ট ব্যবহার করে চুল পরিপাটি করে নিতে পারবেন।
৫. গহনা পরিষ্কার রাখা : সোনা, রূপা, হীরা, জহরত ইত্যাদি ঝাঁ চকচকে হয়ে যাবে টুথপেস্ট দিয়ে ধুয়ে নিলে। এসব গহনায় পেস্ট দিয়ে রাখুন সারা রাত। তার পর সকালে উঠে হালকাভাবে পরিষ্কার করে নিন। তবে মুক্তা পরিষ্কার করবেন না টুথপেস্ট দিয়ে।
৬. ইস্ত্রির ধাতুর কালো দাগ তুলতে : আয়রন করার সময় যদি ডিসটিল্ড পানিও ব্যবহার করেন, তবুও এর ফোকরগুলোতে কালো দাগ পড়ে যায়। টুথপেস্টে সিলিকা থাকে। তাই এটি দিয়ে আয়রনের ধাতব পাতটি ঘষলে এটি চকচকে হয়ে যাবে।
৭. পোকা-মাকড়ের কামড়ে শান্তি : পোকা-মাকড়ের কামড়ে জ্বালা-পোড়া কমাতে তাৎক্ষণিক টুথপেস্ট দারুণ কাজ দেয়। মশার যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন টুথপেস্ট ব্যবহার করে।
৮. পোড়ার জ্বালা কমাতে : আগুনে বা ইস্ত্রিতে হাত লেগে হাত পুড়ে গেলে দ্রুত সেখানে টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। এটি রান্নাঘরে ফার্স্ট এইড হিসেবে রেখে দিতে পারেন। সারা রাত পোড়া অংশে পেস্ট লাগিয়ে রাখলে তা প্রায় ভালো হয়ে যায়।
৯. আসবাবের দাগ তুলতে : পানি বা পানীয়র দাগ থেকে শুরু করে যেকোনো দাগ আসবাবের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। এসব স্থানে টুথপেস্ট লাগিয়ে শুনকো কিছু দিয়ে ঘষুন। এভাবে রেখে দিন না শুকানো পর্যন্ত। এর পর মুছে ফেলুন। আসবাব নতুন করে পলিশ করার আগেও একই কাজ করতে পারেন।


TIENSHI TOOTHPASTE

চুল পড়া রোধে ক্যাস্টর অয়েল

চুল পড়ার একটি অন্যতম কারণ হলো স্ক্যাল্পের ইনফেকশন এবং ডিসঅর্ডার। ব্যাক্টেরিয়া, ফাঙ্গাস স্ক্যাল্পকে আক্রান্ত করে দিনে দিনে চুল ঝরাকে বাড়িয়ে দেয় এবং চুলের বৃদ্ধিকে হ্রাস করে। ক্যাস্টর অয়েলের এন্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং এনটিফাঙ্গাল প্রপার্টিস স্ক্যাল্পের ইনফেকশন প্রতিরোধে সাহায্য করে যা চুল পড়া কমিয়ে আনে অনেকটাই।
- শুষ্কতা বা রুক্ষতা চুল পড়া এবং চুল ভাঙ্গার আরেকটি প্রধান কারণ। ক্যাস্টর অয়েল সহজেই স্ক্যাল্পে শোষিত হয়। ফলে স্ক্যাল্পের ময়েশ্চার এবং নিউট্রিশনের ব্যালেন্স ঠিক থাকে যা চুলের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে।
নতুন চুল গজাতে ক্যাস্টর অয়েলঃ
- ক্যাস্টর অয়েল স্ক্যাল্পে ভালো মতো ম্যাসাজ করলে এটি স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন যত বাড়বে এর অবস্থা তত উন্নত হবে এবং হেয়ার ফলিকলগুলো আরও সুস্থ্য থাকবে। ফলে তা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
-ক্যাস্টর অয়েলে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য উপকারী। এন্টিঅক্সিডেন্ট এর প্রধান কাজ-ই হলো চুলের এবং স্ক্যাল্পের বিষাক্ত পদার্থ হ্রাস করে চুলের বৃদ্ধিকে তরান্বিত করা।
- ক্যাস্টর অয়েল ওমেগা ৯ ফ্যাটি আসিড এবং এসেন্সিয়াল ভিটামিনস এ সমৃদ্ধ যা চুল কে মজবুত এবং উজ্জল করে ও পুনরায় চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ব্যবহারবিধিঃ
- যেহেতু ক্যাস্টর অয়েল খুব ঘন তাই এটি চুলে লাগানোর পূর্বে রেগুলার চুলের তেল (কোকোনাট অয়েল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল) এর সাথে মিশিয়ে লাগালে সুবিধা হবে। স্ক্যাল্পে ভালো মতো ম্যাসাজ করে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা রাখতে হবে। তেল লাগানোর পর হেয়ার ক্যাপ অথবা হট টাওয়েল চুলে পেঁচিযে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এরপর চুলে শ্যাম্পূ করে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। আরও ভালো ফল চাইলে তেল লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিতে পারেন।
- চুলের গ্রোথ বাড়ানোর জন্য হট অয়েল ট্রিটমেন্ট হিসেবেও ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে তেল গরম করে নিতে হবে। প্রক্রিয়া টি সহজ করার জন্য ক্যাস্টর অয়েলের বোতলটি গরম পানির একটি গ্লাসে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর স্ক্যাল্পে ভালো মতো ম্যাসাজ করূন।
উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করলে আশা করি এক মাসের মধ্যেই ফল পাবেন।
  এছাড়া আপনি টিয়েন্স ABPR ব্যাবহার করতে পারেন, দ্রুত উপকার পাবেন।

ABPR

যে ব্যায়াম গুলো আপনার শরীরকে করবে নিখুঁত ও আকর্ষণীয়

শরীরের আকৃতিটা একটু মেদবহুল হয়ে গেলে চিন্তার শেষ থাকে না। সুন্দর সুগঠিত শরীরের ঝরঝরে অনুভূতি তো আর মেদবহুল শরীরের পাওয়া যায়না। আর তাই শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে মানুষের চেষ্টার শেষ নেই। মেদ কমিয়ে ফেলার জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। কিন্তু ঠিক কোন ব্যায়ামটি করবেন শরীরের মেদ ঝরাতে তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন। জেনে নিন শরীরকে সুগঠিত রাখে এমন কিছু ব্যায়াম সম্পর্কে।
স্কিপিং রোপ/দড়ি লাফ
ছোটবেলায় নিশ্চয়ই দড়ি লাফ খেলেছেন? এখন সময় এসেছে আবারও দড়ি লাফ খেলার। কারণ দড়ি লাফ বেশ দ্রুত ওজন কমানে সহায়তা করে। এছাড়াও দড়ি লাফ হৃদপিন্ডের জন্য খুবই উপকারী।
স্কোয়াট
হাত দুটো সামনের দিকে দিয়ে পায়ের উপর ভর করে ধীরে ধীরে উঠা বসার এই ব্যায়ামটি পুরো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ইচ্ছে করলে হাতে ডামবল নিয়েও ব্যায়ামটি করতে পারেন আপনি।
পুশ আপ
বেশিরভাগ মানুষই এই ব্যায়ামটি এড়িয়ে যায়। কারণ ব্যায়ামটি করা একটু কষ্টসাধ্য। কিন্তু কষ্ট না করলে তো মেদও ঝরানো সম্ভব না। হাতের উপর ভর দিয়ে পুরো শরীরের ভর তোলার এই ব্যায়ামটি ওজন কমানোর জন্য খুবই কার্যকরী।
লাঙ্গেস
পুরো শরীর এবং পায়ের মেদকে সুগঠিত করার জন্য লাঙ্গেস একটি কার্যকরী ব্যায়াম। ১০ বার করে প্রতিদিন তিনবার এই ব্যায়ামটি করলে শরীর থাকবে সুগঠিত ও মেদহীন।
সাতার
সাতার মেদ কমানো এবং শরীরকে সুস্থ সুন্দর রাখার জন্য সবচাইতে কার্যকরী একটি ব্যায়াম। সাতারে শরীরের সকল মাংসপেশীর ব্যায়াম হয় এবং শরীর মেদহীন ও সুগঠিত থাকে।
দৌড়ানো
দৌড়ানোর আছে অনেক উপকারিতা। নিয়মিত দৌড়ালে শরীর থাকবে মেদহীন, হৃদপিন্ড ভালো থাকবে এবং মানসিক চাপ কমবে। প্রতিদিন কিছুটা সময় দৌড়ালে নিজের শরীরটাকে করা যায় সুগঠিত ও সুন্দর।
সাইকেলিং
সাইকেলিং ঘাম ঝরানোর ভালো ব্যায়াম। সাইকেলিং এ প্রচুর ক্যালরি খরচ হয় যা শরীরকে মেদমুক্ত রাখে। প্রতিদিন কিছুক্ষণ করে সাইকেলিং করলে আপনার শরীরটা থাকবে একদম ঝরঝরে।

No comments:

Post a Comment